শ্রীবরদীতে ড্রাগনে স্বপ্ন বুনেছেন ছয় তরুণ উদ্যোক্তা
তাসলিম কবির বাবু, স্টাফ রিপোর্টার:
বাংলাদেশে ক্রমেই জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে ড্রাগন ফল। সুস্বাদু ও দৃষ্টিনন্দন এই ফলের চাহিদা ও মূল্য ভালো হওয়ায় বানিজ্যিকভাবে ড্রাগনের চাষ প্রতিবছরই বৃদ্ধি পাচ্ছে। পুষ্টিগুন সম্পন্ন এই ফল চাষ করায় একদিকে মানুষের পুষ্টির ঘাটতি পুরন হচ্ছে, অন্য দিকে ফলন ভালো হওয়ায় লাভবান হচ্ছে চাষিরা।
স্বল্প পুঁজিতে অধিক লাভজনক হওয়ায় শেরপুরের শ্রীবরদীতে ছয় তরুণ উদ্যোক্তা ড্রাগন চাষের পরিকল্পনা করেন। এরই ধারাবাহিকতায় এএসএম আজিজুল হাসান ওমান, আবু রায়হান, শামসুজ্জামান সুমন, শাহাদাৎ হোসেন জিকো, বিল্লাল হোসেন উজ্জল, সরকার জুবায়ের হোসেন সুজন ছয়জনে মিলে প্রতিষ্ঠানের নাম দেয় এডভেন্টা এগ্রো। পরে উপজেলার সদর ইউনিয়নের দহেরপাড় গ্রামে ৫০ শতক জমি ৩ লক্ষ টাকা দিয়ে লিজ নেয় তারা। গত বছর গাজীপুর কৃষি গবেষণা কেন্দ্র থেকে ড্রাগনের ৮০০ চারা কিনে ২০০ খুঁটিতে রোপন করেন। সব মিলিয়ে তাদের প্রায় পাঁচ লাখ টাকা খরচ হয়েছে। ১৩ মাস বয়সী প্রত্যেকটি চারায় একাধিক ফল এসেছে। এতেই তারা খুশি। তাদের প্রত্যাশা আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে এবছরই তাদের বিনিয়োগকৃত টাকা ফেরত আসবে। আগামী বছর থেকে প্রায় পাঁচ ছয় লাখ টাকা লাভ হবে।
আবু রায়হান বলেন, কম সময়ে অধিক লাভ হওয়ায় আমরা ড্রাগন চাষ করেছি। প্রথম বারই ফলন অনেক ভালো হয়েছে। শামসুজ্জামান সুমন বলেন, ড্রাগনের উৎপাদন খরচ তুলনামূলক কম। গাছে জৈবসার দিলেই ফলন ভালো হয়। রাসায়নিক সারের প্রয়োজন নেই। এপর্যন্ত আমাদের প্রায় ৫ লাখ টাকা খরচ হয়েছে। য়ে পরিমাণ ফল এসেছে, তাতে এবছরই আমাদের বিনিয়োগের টাকা উঠে আসবে। এএসএম আজিজুল হাসান ওমান বলেন, করোনার পর আমাদের ব্যবসায় ধ্বস নামে। তখনই ভেবেছিলাম একটা কিছু করতে হবে। অনেকের কাছেই জানতে পারলাম ড্রাগন চাষ লাভজনক। একবার চারা রোন করলে প্রায় ২০ বছরের অধিক ফল দেয়। তাই ছয় বন্ধু মিলে জমি লিজ নিয়ে ড্রাগন চাষ করেছি। এছাড়াও আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে কৃষি সেক্টর এগিয়ে নিতে আমরা অন্যান্য চাষাবাদও শুরু করবো।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ সাবরিনা আফরিন বলেন, বাগানটি আমরা পরিদর্শন করে পরামর্শ দিয়েছি। আমাদের ড্রাগনের কোন প্রদর্শনী নেই। তবে গ্রীষ্মকালীন বেগুন সহ অন্যান্য চাষাবাদে তাঁদের আগ্রহ রয়েছে। আমরা সাধ্য অনুযায়ী তাদের সহযোগিতা করবো।