নকলায় পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী উদযাপন
শেরপুর জেলার নকলা উপজেলাতে পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী উদযাপন করা হয়েছে। জশ্নে জুলুসে ঈদে মিলাদুন্নবী উদযাপন উপলক্ষে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করা হয়। কর্মসূচি গুলোর মধ্যে শোভাযাত্রা, আলোচনা সভা, মিলাদ মাহফিল ও বিশেষ দোয়া উল্লেখযোগ্য।
বৃহস্পতিবার (১২ রবিউল আওয়াল, ২৮ সেপ্টেম্বর) ১১ টার দিকে আহলে সুন্নাত ওয়াল জামা’আত বাংলাদেশ নকলা উপজেলা শাখার আয়োজনে শান্তিপূর্ণ শোভাযাত্রা, আলোচনা সভা, দোয়া ও মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।
শোভাযাত্রাটি মুজিব জন্মশতবর্ষ মঞ্চের সামনে থেকে শুরু হয়ে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে একই স্থানে গিয়ে শেষ হয়। পরে পীরজাদা ক্বারী ফিরোজ আহাম্মেদের তত্বাবধানে ও দরবার শরীফের ভক্তবৃন্দ এবং নকলা উপজেলাবাসীর সার্বিক সহযোগিতা অনুষ্ঠিত শোভাযাত্রায় বিভিন্ন এলাকা থেকে আগত দুই শতাধিক আশেকে রাসূল ভক্তবৃন্দ অংশগ্রহণ করেন।
পরে মুজিব জন্মশতবর্ষ মঞ্চে খেলাফত প্রাপ্ত নামা কৈয়াকুড়ী দরবার শরীফের পীর শাহ্ সূফি ফকির ছামাদ শাহ্-এর সভাপতিত্বে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
ক্বারী ফিরোজ আহাম্মেদের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন মাওলানা মোহাম্মদ ফয়সাল হোসেন আল মোজাদেদী, আহলে সুন্নাত ওয়াল জামা’আত বাংলাদেশ-এর নকলা পৌর শাখার সভাপতি ও পৌর কমিশনার মো. জরিফ হোসেন, মো. আবুল হোসেন চিশতী, মো. আব্দুল আউয়াল ভান্ডারী, ইসমাইল হোসেন রুবেল, মো. আরিফুর রহমান ও মো. মহিউদ্দিন প্রমুখ।
আলোচনা সভা, মিলাদ মাহফিল শেষে ভক্তবৃন্দের ক্বালবে জিকির জারি করতে, সত্যের স্বাক্ষাৎ ও প্রকৃত বায়াত এর আত্ম উপলব্ধি পাওয়ার আশায় এবং দেশ ও জাতির কল্যাণে বিশেষ দোয়া পরিচালনা করেন দরবার শরীফের পীর শাহ্ সূফি ফকির ছামাদ শাহ্।
এসময় উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংস্কৃতিক সম্পাদক মো. মাহবুবুল আলম শাহীন, পৌর কমিশনার মো. তোতা মিয়া, নকলা প্রেসক্লাবের সভাপতি মো. মোশারফ হোসাইন, সহ-সভাপতি খন্দকার জসিম উদ্দিন মিন্টু, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. নূর হোসাইন, সাংবাদিক মোতালেব সেলিম, শফিউজ্জামান রানা, অগণিত ভক্তবৃন্দ, স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, ৫৭০ খ্রিষ্টাব্দে হিজরি রবিউল আউয়াল মাসের ১২ তারিখে আরবের মক্কা নগরীর কুরাইশ বংশে প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) জন্মগ্রহণ করেছিলেন। ৬৩ বছর বয়সে তিনি শাহাদৎ বরণ করেন। হিজরি ক্যালেন্ডার অনুযায়ী এ দিনটিকেই সারাবিশ্বের ধর্মপ্রাণ মুসলিম জনতা ধর্মীয়ভাব গাম্ভীর্যের মধ্যদিয়ে পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী হিসেবে পালন করেন। এদিনটির সম্মানে বাংলাদেশে সরকারি ছুটি থাকে।