শ্রীবরদীতে হলুদ রঙে সেজেছে ফসলের মাঠ
স্টাফ রিপোর্টার:
সরিষা ফুলের মৌ মৌ গন্ধে মুখরিত শেরপুরের শ্রীবরদী উপজেলার বিভিন্ন এলাকার ফসলের মাঠ। দু’চোখ যেদিকে যায়, এখন শুধু হলুদের সমারোহ। নীল আকাশের নীচে বিস্তীর্ণ মাঠজুড়ে হলুদ ফুলের সমারোহ। হলুদ বরণে সেজেছে প্রকৃতি। দূর থেকে মনে হয় মাঠ যেন হলুদের চাদরে ঢাকা। সরিষার ফুল থেকে মৌমাছিসহ বিভিন্ন পোকা-মাকড়, পাখির গুণ গুণ শব্দ, ফুলের রেণু থেকে মধু সংগ্রহের দৃশ্য সত্যিই মনোমুগ্ধকর। আবহাওয়া অনুকুলে থাকায় সরিষার বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা দেখছে উপজেলা কৃষি বিভাগ।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, উপজেলায় বিভিন্ন এলাকায় ৪ হাজার ২০৮ হেক্টার জমিতে উচ্চ ফলনশীল জাতের সরিষার আবাদ হয়েছে। কৃষি প্রণোদনার আওতায় ৫ হাজার কৃষকের মাঝে বারী-৯, ১৪, বিনা-৯ জাতের সরিষা বীজ ও সার বিনামূল্যে বিতরণ করা হয়। এছাড়াও ৫শত কৃষককে বীজ দেওয়া হয়েছে। সরিষা উৎপাদনে সার কম প্রয়োগ করতে হয়, সেচ, নিড়ানী ও কীটনাশকের খুব একটা প্রয়োজন হয় না। স্বল্প সময়ে কম খরচে সরিষা চাষ করা যায়। ফলে জমির উর্বরতাও বৃদ্ধি পায়। আমন ও বোরো আবাদের মাঝে যে সময় থাকে সেই সময় পতিত জমিতে সরিষা চাষ করে কৃষকরা অধিক লাভবান হচ্ছে।
করুয়া পশ্চিমপাড়া গ্রামের কৃষক মহন্দ আলী, শরাফত, বাচ্চু, হানি ও আশিনাকান্দা গ্রামের কৃষক সাইফুল ইসলাম, আব্দুল আজিজ বলেন, এখন পর্যন্ত আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এবছর সরিষার বাম্পার ফলনের আশা করছি। কম খরচে সরিষা চাষে অধিক লাভ করা যায়। এছাড়াও স্থানীয় কৃষি অফিস থেকে আমাদের নিয়মিত পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। উপ-সহকারি কৃষি কর্মকর্তা জিল্লুর রহমান বলেন, লাভজনক হওয়ায় শ্রীবরদীতে প্রতিবছরই সরিষার আবাদ বৃদ্ধি পাচ্ছে।
উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ সাবরিনা আফরিন বলেন, আমন ধান কাটার পর কৃষকরা সেই জমিতে সরিষা চাষ করে ৭৮-৮০ দিনের মধ্যে ফলন ঘরে তুলে। আমন ও বোরো চাষের মাঝামাঝি সময়ের পতিত জমিতে সরিষা চাষ করায় একদিকে যেমন জমির উর্বরতা বৃদ্ধি পায় অপরদিকে কৃষকরা অধিক লাভবান হয়।