শ্রীবরদীতে বিদ্যালয়ে প্রবেশের রাস্তা বন্ধ: দেড় মাসেও হয়নি সমাধান, কর্তৃপক্ষ নিরব

শ্রীবরদীতে বিদ্যালয়ে প্রবেশের রাস্তা বন্ধ: দেড় মাসেও হয়নি সমাধান, কর্তৃপক্ষ নিরব

স্টাফ রিপোর্টার:
শেরপুরের শ্রীবরদীতে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রবেশের রাস্তায় খুটি, বাঁশ ও সুপারি গাছ লাগিয়ে রাস্তা বন্ধ করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এতে করে কোমলমতি শিক্ষার্থী ও শিক্ষকরা বিপাকে পড়েছেন। রাস্তা বন্ধ করায় বিদ্যালয়ের নতুন ভবনের কাজ শুরু করতে পারছেন না ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। ফলে ফেরত যেতে পারে নতুন ভবনের বরাদ্দকৃত টাকা। উপজেলার রানীশিমুল ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী খাড়ামোড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ঐ ঘটনা ঘটেছে। প্রায় দেড় মাস অতিবাহিত হলেও বিদ্যালয় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ও উপজেলা শিক্ষা অফিস কোন পদক্ষেপ গ্রহণ না করে দায়সারাভাবে এড়িযে যাচ্ছে। বিষয়টি নিয়ে ঐ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।

এব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার শেখ জাবের আহমেদ বলনে, সহকারি কমিশনার (ভূমি) কে তদন্তের জন্য দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদন পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

বিদ্যালয় সূত্রে জানা যায় ২০১০ সালে বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠার পর থেকেই শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা একমাত্র রাস্তাটি দিয়ে যাতায়াত করেন। পরবর্তীতে ২০১৪ সালে বিদ্যালয়টি জাতীয়করণ হয়। কিন্তু গত ৬ আগস্ট রাস্তার জমির মালিকানা দাবি করে কোমর আলী (৫০) ও তাঁর পরিবারের লোকজন মিলে রাস্তাটি বন্ধ করে দেয়। পরবর্তীতে শিক্ষক শিক্ষার্থীরা পাশের একটি বাড়ি দিয়ে যাতায়াত করতো। কিন্তু রবিবার (২২ সেপ্টেম্বর) সেই বাড়ি দিয়ে যাতায়াতের রাস্তাটিও বেড়া দিয়ে বন্ধ করে দিয়েছে কোমর আলী।

এনিয়ে এলাকার ইউপি সদস্য সহ গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ একাধিকাবার বৈঠক করেও কোন সমাধান করতে পারেনি। এতে করে বিপাকে রয়েছে শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। রাস্তা বন্ধ থাকায় বিদ্যালয়ের নতুন বরাদ্দকৃত ভবনের কাজ করতে পারছে না ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান।
ঠিকাদার শহিদ মিয়া বলেন, নতুন ভবন নির্মাণের জন্য মালামাল নিয়ে যাওয়ার আর কোন রাস্তা নাই। তাই সুযোগ বুঝে জমির মালিক দাবিকারী কোমর আলী আমাদের কাছ থেকে ১০ লাখ টাকা দাবি করছে। স্থানীয় ইউপি সদস্য নূর হক বলেন, বিষয়টি নিয়ে আমরা সমাধানের চেষ্টা করেছি। কিন্তু কোমর আলী তা মানছেন না। এব্যাপারে কোমর আলী বলেন, রাস্তার জায়গাটি আমার। তাই বন্ধ করে দিয়েছি। রান্তার জন্য কত টাকা আপনি দাবি করেন এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন ১০ লাখ টাকা হলে আমি রাস্তা দিবো।

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রুমি আক্তার বলেন, বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার পর থেকেই এই রাস্তা দিয়ে শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা যাতায়াত করে আসছে। প্রায় দেড় মাস থেকে রাস্তাটি বন্ধ হলেও এখন পযন্ত কোন সমাধান হয়নি। এতে করে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা বিপাকে পড়েছে।
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার তৌফিকুল ইসলাম বলেন, বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা চলছে।

তবে বিদ্যালয়ের রাস্তা বন্ধ করার দীর্ঘদিনেও সমাধান না হওয়ায় এলাকা চাঞ্চল্য বিরাজ করেছে।

WP2Social Auto Publish Powered By : XYZScripts.com
Send this to a friend