শ্রীবরদীতে মাদরাসা প্রধানের বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীকে বলাৎকার চেষ্টার অভিযোগ: থানায় মামলা
স্টাফ রিপোর্টার:
শেরপুরের শ্রীবরদীতে এক শিক্ষার্থীকে বলাৎকার চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় আল উসমান কওমী মাদরাসা’র প্রধান মো. উসমান বিন মঈনদ্দিন (৪৫) এর বিরুদ্ধে। এঘটনায় সোমবার (৩০ সেপ্টেম্বর) সকালে শ্রীবরদী থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেছেন ভুক্তভোগী ঐ শিক্ষার্থীর পিতা। মাদরাসার প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান মো: উসমান বিন মঈনদ্দিন শ্রীবরদী সদর ইউনিয়নের ধীয়ারচর গ্রামের মৃত মাইনদ্দিনের ছেলে ও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ শ্রীবরদী শাখার সাধারণ সম্পাদক। এঘটনাকে কেন্দ্র করে অভিযুক্তকে গ্রেফতারের দাবীতে সোমবার বিকালে বিক্ষোভ মিছিল করেছে এলাকাবাসী।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, নির্যাতনের শিকার শিশু শিক্ষার্থী (১২) স্থানীয় আল উসমান কওমী মাদরাসায় পড়াশোনা করে। মো. উসমান বিন মঈনদ্দিন ওই মাদরাসার প্রধান শিক্ষক ও প্রতিষ্ঠাতা। ২৫ সেপ্টেম্বর বুধবার বিকালে মো. উসমান বিন মঈনদ্দিন ওই শিক্ষার্থীকে ইলেকট্রিক্যাল প্লাস ও টেস্টার নিয়ে তার কক্ষে যেতে বলেন। পরে ঘরের দরজা বন্ধ করে তাকে বলাৎকারের চেষ্টা করেন। এসময় ঐ শিক্ষার্থীর ডাক-চিৎকারে আশেপাশের লোকজন আসলে মো. উসমান বিন মঈনদ্দিন কৌশলে পালিয়ে যান। বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার জন্য ভুক্তভোগীকে হুমকি ধমকি দিতে থাকেন। একপর্যায়ে ৩০ সেপ্টেম্বও সোমবার ঐ শিক্ষার্থীর পিতা মাদরাসা প্রধান মো. উসমান বিন মঈনদ্দিনের নামে মামলা দায়ের করেন। এ বিষয়ে অভিযুক্ত মাদরাসা প্রধানের বক্তব্য নেওয়ার জন্য তার মাদরাসা ও বাড়িতে গিয়ে তাকে পাওয়া যায়নি। তার ব্যবহৃত মোবাইল সংযোগটিও বন্ধ পাওয়া যায়। এব্যাপারে থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আনোয়ার জাহিদ বলেন, ভুক্তভোগীর পিতা বাদী হয়ে থানায় একটি মামলা দায়ের করেছে। আসামীকে গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।